ইয়েমেনের বন্দর নগরী হুদাইদায় স্থানীয় হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হামলা স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তারা জানিয়েছে, হুদাইদাহ ইস্যুতে জাতিসংঘের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে একটি সুযোগ দিতে চায় তারা। খবর আল জাজিরার।
ধারাবাহিক কয়েকটি টুইটে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনোয়ার গার্গশ রবিবার বলেন, হুদাইদাহ থেকে বিদ্রোহীদের শর্তবিহীন প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনার সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই হামলা স্থগিত করা হয়েছে।
তবে তিনি সতর্ক করে দেন যে, যেকোনো মুহূর্তে পুরোপুরি সামরিক পদক্ষেপ চালু হতে পারে।
গার্গশ বলেন, আমরা, হুদাইদাহ বন্দর ও নগরী থেকে হুতি বিদ্রোহীদের শর্তবিহীন প্রত্যাহারের বিষয়ে জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত মার্টিন গ্রিফিথসের অব্যাহত চেষ্টাকে স্বাগত জানাই।
তিনি আরো বলেন, আমরা আমাদের অভিযান এজন্য স্থগিত করেছি যাতে করে, তিনি এই দিকটা ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে পারেন। আমরা আশা করি তিনি সফল হবেন।
গার্গশ জানান, ২৩ জুন থেকেই হামলা স্থগিত রয়েছে। এ বিষয়ে তাদের ওপর চাপ থাকলেও, সরকার-পন্থী বাহিনীরা গ্রিফিথ ও বিদ্রোহীদের মধ্যে অনুষ্ঠেয় একটি বৈঠকের অপেক্ষায় আছে।
শুক্রবার ইউএন রেডিওকে গ্রিফিথ বলেন, আগামী সপ্তাহে আলোচনার অগ্রগতি নিয়ে বৈঠকে বসবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। তিনি আরো জানান, বিদ্রোহীদের সঙ্গে বৈঠকটি দুই সপ্তাহের মধ্যে ঘটতে পারে।
এদিকে, বিদ্রোহীরা জানিয়েছে যে, তারা হুদায়দার নিয়ন্ত্রণ জাতিসংঘের সঙ্গে ভাগ করে নিতে ইচ্ছুক। তবে শর্ত হচ্ছে, এতে করে বন্দরে ও লোহিত সাগরের বাকি অংশে তাদের বাহিনী থাকার সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার বিদ্রোহীদের এমন শর্ত মানতে নারাজ।
তাদের দাবি, ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার একমাত্র রাজনৈতিক সমাধান হচ্ছে হদাইদাহ থেকে, হুতিদের সম্পূর্ণ ও শর্তবিহীন প্রত্যাহার। উল্লেখ্য, হুতিরা ২০১৪ সালে হুদাইদার দখল নিয়ে নেয়।